হিমযুগ

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছেকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে-শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোঃস্নার মতো যোনিমধুকূপী ঘাসের মতন রোম, কিছুটা খয়েরিকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে- আমার নিশ্বাস পড়ে দ্রুত, বড়ো ঘাম হয়,…

হঠাৎ নীরার জন্য

– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কালস্বপ্নে বহুক্ষণদেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরেতোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নেরনীল দুঃসময়ে। দক্ষিণ সমুদ্রদ্বারে গিয়েছিলে কবে, কার সঙ্গে? তুমিআজই কি ফিরেছো?স্বপ্নের…

শুধু কবিতার জন্য

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, শুধু কবিতারজন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধেবেলাভুবন পেরিয়ে আসা, শুধু কবিতার জন্যঅপলক মুখশ্রীর শান্তি একঝলক;শুধু কবিতার জন্য তুমি নারী, শুধুকবিতার জন্য এতো রক্তপাত, মেঘে গাঙ্গেয় প্রপাতশুধু কবিতার জন্য, আরো দীর্ঘদিন…

প্রেমহীন

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শেষ ভালোবাসা দিয়েছি তোমার পূর্বের মহিলাকেএখন হৃদয় শূন্য, যেমন রাত্রি রাজপথঝকমক করে কঠিন সড়ক, আলোয় সাজানো, প্রত্যেক বাঁকে বাঁকেপ্রতীক্ষা আছে আঁধারে লুকানো তবু জানি চিরদিনএ-পথ্‌ থাকবে এমনি সাজানো, কেউ আসবে না, জনহীন, প্রেমহীনশেষ ভালোবাসা দিয়েছি তোমার পূর্বের মহিলাকে!…

প্রত্যেক তৃতীয় চিন্তা

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মানুষের মতো চোখ, বিস্ফোরণ, সমাধির মতো শূন্যে প্রচ্ছন্ন কপালপদচুম্বনের মতো ভালোবাসা ভিতরে রয়েছেভালোবাসা তিনশো মাইল দূরে গিয়ে আলিঙ্গন করেদূর থেকে ভালোবাসা দেখে যেতে লোভ হয়, শরীর লুকোতে চায়জ্যোৎস্নালোকে, তবুও জ্যোৎস্নায়স্পষ্ঠ ছাড়া পড়ে এত স্পর্শকাতরতা।গোলাপের মতো এক ধানক্ষেত, পুরুষ…

পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া আর কিছুই থাকে না

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া আর কিছুই থাকে নাআয়নাভেঙেবিচ্ছুরণএকদিনবিস্ফোরণ হয়বুক ভেঙে কান্না এলে কান্নাগুলি ছুটে যায় ধূসর অন্তিমে স্বর্গের অলিন্দে-স্বর্গ থেকেতারপর ঢলে পড়েমহিম হালদার স্ট্রীটেপ্রাচীন গহ্বরেমধ্যরাতে। জানলা ভেঙে বৃষ্টি এলে বুকে যে-রকম পাপ হয়যে-রকম স্মৃতিহীন মহিম হালদার কিংবা…

নীরার জন্য কবিতার ভূমিকা

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই, শুধু তুমি, নীরাএ-কবিতা মধ্যরাত্রে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করেঘুমের ভিতরে তুমি আচমকা জেগে উঠে টিপয়েরথেকে জল খেতে গিয়ে জিভ কামড়ে একমুহূর্ত ভাবলেকে তোমার কথা মনে করছে এত রাত্রে–তখন আমারএই কবিতার প্রতিটি লাইন…

নীরা তোমার কাছে

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সিঁড়ির মুখে কারা অমন শান্তভাবে কথা বললো?বেরিয়ে গেল দরজা ভেজিয়ে, তবু তুমি দাঁড়িয়ে রইলে সিঁড়িতেরেলিং-এ দুই হাত ও থুত্‌নি, তোমায় দেখে বলবে না কেউ থির বিজুরিতোমার রঙ একটু ময়লা, পদ্মপাতার থেকে যেন একটু চুরি,দাঁড়িয়ে রইলেনীরা, তোমায় দেখে হঠাৎ…

দেখা হবে

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভ্রূ-পল্লবে ডাক দিলে, দেখা হবে চন্দনের বনে-সগন্ধের সঙ্গে পাবো, দ্বিপ্রহরে বিজন ছায়ায়আহা, কি শীতল স্পর্শ হৃদয়-ললাটে, আহা, চন্দন চন্দনদৃষ্টিতে কি শান্তি দিলে, চন্দন, চন্দনআমি বসে থাকবো দীর্ঘ নিরালায় প্রথম যৌবনে আমি অনেক ঘুরেছি অন্ধ, শিমূলে জরুলেলক্ষ লক্ষ মহাদ্রুম,…

ক্লান্তির পর

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমি তোমার অধর থেকে ওষ্ঠ তুলে তাকিয়ে দেখি মুখের দিকেতুমি তোমার কোনো কথাই রাখেনিকথা ছিল কি এমন করে কান্না, এমনচোখের দুই পাশ মুচড়ে তাকানোর?কথা ছিল কি বিকেলবেলা ঘড়ির নিচে মায়ার খেলাআদর পেয়ে মার্জারীর মতো শরীর বাঁকানো?হাওয়ায় এখন নদীর…

আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশএই কী মানুষজন্ম? নাকি শেষপরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা! প্রতি সন্ধ্যেবেলাআমার বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে ওঠে, হৃদয়কে অবহেলাকরে রক্ত; আমি মানুষের পায়ের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসেথাকি-তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো…

অপমান এবং নীরাকে উত্তর

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে কেন হেসে উঠলে, সাক্ষী রইলো বন্ধু তিনজনসিঁড়িতে দাঁড়িয়ে কেন হেসে উঠলে, সাক্ষী রইলো বন্ধু তিনজনসিঁড়িতে দাঁড়িয়ে কেন হেসে উঠলে, নীরা, কেন হেসে উঠলে, কেনসহসা ঘুমের মধ্যে যেন বজ্রপাত, যেন সিঁড়িতে দাঁড়িয়েসিঁড়িতে দাঁড়িয়ে, নীরা, হেসে উঠলে, সাক্ষী…

শরীর অশরীরী

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কেউ শরীরবাদী বলে আমায় ভর্ৎসনা করলে, তখনই ইচ্ছে হয়অভিমানে অশরীরী হয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাই।আবার কেউ ‘অশরীরী’ শব্দটি উচ্চারন করলে আমি কান্নার মতনভয় পেয়ে তীব্র কন্ঠে বলি, শরীর, তুমি কোথায়? লুকিও নাএসো, তোমাকে একটু ছুঁই!এই রকমই জীবন ও মানুষের…

ভালোবাসা

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভালোবাসা নয় স্তনের ওপরে দাঁত?ভালোবাসা শুধু শ্রাবণের হা-হুতাশ?ভালোবাসা বুঝি হৃদয় সমীপে আঁচ?ভালোবাসা মানে রক্ত চেটেছে বাঘ! ভালোবাসা ছিল ঝর্ণার পাশে একাসেতু নেই আকাশে পারাপারভালাবাসা ছিল সোনালি ফসলে হওয়াভালোবাসা ছিল ট্রেন লাইনের রোদ। শরীর ফুরোয় ঘামে ভেসে যায় বুকঅপর…

বাড়ি ফেরা

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রাত্তির সাড়ে বারোটায় বৃষ্টি, দুপুরে অত্যন্ত শুক্‌নো এবং ঝক্‌্‌ঝকেছিল পথ, মেঘ থেকে কাদা ঝরেছে, খুবই দুঃখিত মূর্তি একাহেঁটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে, কালো ভিজে চুপচাপ দ্বিধায়ট্রাম বাস বন্ধ, রিক্সা ট্যাক্সি-পকেটে নেই, পৃথিবী তল্লাসী হয়ে গেছে পরশুদিনপুলিশের হাতে শাস্তি এখন,…

নীরার হাসি ও অশ্রু

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নীরার চোখের জল অনেক চোখের অনেকনীচেটল্‌মল্‌নীরার মুখের হাসি মুখের আড়াল থেকেবুক, বাহু, আঙুলেছড়ায়শাড়ির আঁচলে হাসি, ভিজে চুলে, হেলানো সন্ধ্যায় নীরাআমাকে বাড়িয়ে দেয়, হাস্যময় হাতআমার হাতের মধ্যে চৌরাস্তায় খেলা করে নীরার কৌতুকতার ছদ্মবেশ থেকে ভেসে আসে সামুদ্রিক ঘ্রাণসে আমার…

নীরার অসুখ

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নীরার অসুখ হলে কলকাতার সবাই বড় দুঃখে থাকেসূর্য নিভে গেলে পর, নিয়নের বাতিগুলি হঠাৎ জ্বলার আগে জেনে নেয়নীরা আজ ভালো আছে?গীর্জার বয়স্ক ঘড়ি, দোকানের রক্তিম লাবণ্য–ওরা জানেনীরা আজ ভালো আছে!অফিস সিনেমা পার্কে লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে মুখে রটে…

কেউ কথা রাখেনি

– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনিছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলশুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবেতারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমীআর এলোনাপঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি। মামা বাড়ির মাঝি…

স্বপ্নের কবিতা

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমি তো দাঁড়িয়েছিলাম পাশে, সামনে বিপুল জনস্রোতহলুদ আলোর রাস্তা চলে গেছে অতিকায় সুবর্ণ শহরেকেউ আসে কেউ যায়, কারো আঙুল থেকে ঝরে পড়ে মধুকেউ দাঁতে পিচ কাটে, সুবর্ণষ্ঠীবীর স্মৃতি লোভ ক’রেকেউ বা ছুঁয়েছে খুব লঘু যত্নে, সুখী বারবনিতারতম্বুরাযুগল হেন…

যে আমায়

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছিযে আমায় ভুলে যায়, আমি তার ভুলগোপন সিন্দুকে খুব যত্নে তুলে রাখিপুকুরের মরা ঝাঁঝি হাতে নিয়ে বলি,মনে আছে, জলের সংসার মনে আছে?যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি! যে আমায় বলেছিল, একলা থেকো নাআমি…

মন ভালো নেই

– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেইকেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেইচোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনিপ্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়আশায় আশায় আশায় আশায়এখন আমার ওষ্ঠে লাগে…

তোমার কাছেই

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সকাল নয়, তবু আমারপ্রথম দেখার ছটফটানিদুপুর নয়, তবু আমারদুপুরবেলার প্রিয় তামাশাছিল না নদী, তবুও নদীপেরিয়ে আসি তোমার কাছেতুমি ছিলে না তবুও যেনতোমার কাছেই বেড়াতে আসা!শিরীষ গাছে রোদ লেগেছেশিরীষ কোথায়, মরুভূমি!বিকেল নয়, তবু আমারবিকেলবেলর ক্ষুৎপিপাসাচিঠির খামে গন্ধ বকুলতৃষ্ণা ছোটে…

যদি নির্বাসন দাও

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবোআমি বিষপান করে মরে যাবো!বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশনদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘপ্রান্তরে দিগন্ত নিনির্মেষ-এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমিযদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবোআমি বিষপান করে মরে যাবো। ধানক্ষেতে চাপ চাপ…

ব্যর্থ প্রেম

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রতিটি ব্যর্থ প্রেমই আমাকে নতুন অহঙ্কার দেয়আমি মানুষ হিসেবে একটু লম্বা হয়ে উঠিদুঃখ আমার মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্তছড়িয়ে যায়আমি সমস্ত মানুষের থেকে আলাদা হয়ে একঅচেনা রাস্তা দিয়ে ধীরে পায়েহেঁটে যাই সার্থক মানুষদের আরো-চাই মুখ আমার সহ্য…

চোখ নিয়ে চলে গেছে

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই যে বাইরে হু হু ঝড়, এর চেয়ে বেশীবুকের মধ্যে আছেকৈশোর জুড়ে বৃষ্টি বিশাল, আকাশে থাকুক যত মেঘ,যত ক্ষণিকামেঘ উড়ে যায়আকাশ ওড়ে নাআকাশের দিকেউড়েছে নতুন সিঁড়িআমার দু বাহু একলা মাঠের জারুলের ডালপালাকাচ ফেলা নদী যেন ভালোবাসাভালোবাসার মতো ভালোবাসাদু‘দিকের…

কিছু পাগলামি

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় জুলপি দুটো দেখতে দেখতে শাদা হয়ে গেল!আমাকে তরুণ কবি বলে কেউ ভুলেও ভববে নাপরবর্তী অগণন তরুণেরা এসেছে সুন্দর ক্রুদ্ধ মুখেতাদের পৃথিবী তারা নিজস্ব নিয়মে নিয় নিক!আমি আর কফি হাউস থেকে হেঁটে হেঁটে হেঁটেনিরুদ্দিষ্ট কখনো হবে না আমি আর…

কথা আছে

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বহুক্ষণ মুখোমুখি চুপচাপ, একবার চোখ তুলে সেতুআবার আলাদা দৃষ্টি, টেবিলে রয়েছে শুয়েপুরোনো পত্রিকাপ্যান্টের নিচে চটি, ওপাশে শাড়ির পাড়েদুটি পা-ই ঢাকাএপাশে বোতাম খোলা বুক, একদিন না-কামানো দাড়িওপাশে এলো খোঁপা, ব্লাউজের নীচে কিছুমসৃণ নগ্নতাবাইরে পায়ের শব্দ, দূরে কাছে কারা যায়কারা…

ইচ্ছে হয়

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকিভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যেমানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা? রূপের মধ্যে মানুষ আছে, এই জেনে কি নারীর কাছেরঙের ধাঁধা খুঁজতে খুঁজতে টনটনায় চক্ষু-স্নায়ুকপালে দুই…

ভালোবাসার পাশেই

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভালোবাসার পাশেই একটা অসুখ শুয়ে আছেওকে আমি কেমন করে যেতে বলিও কি কোনো ভদ্রতা মানবে না?মাঝে মাঝেই চোখ কেড়ে নেয়,শিউরে ওঠে গাভালোবাসার পাশেই একটা অসুখ শুয়ে আছে। দু’হাত দিয়ে আড়াল করা আলোর শিখাটুকুযখন তখন কাঁপার মতন তুমি আমার…

প্রেমিকা

__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কবিতা আমার ওষ্ঠ কামড়ে আদর করেঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যায়ছাদের ঘরেকবিতা আমার জামার বোতাম ছিঁড়েছে অনেকহঠাৎ জুতোর পেরেক তোলে!কবিতাকে আমি ভুলে থাকি যদিঅমনি সে রেগে হঠাৎ আমায়ডবল ডেকার বাসের সামনে ঠেলে ফেলে দেয়আমার অসুখে শিয়রের কাছে জেগে…

Posts navigation

  • 1
  • 2