– সুকুমার বড়ুয়া এমন যদি হতোইচ্ছে হলে আমি হতামপ্রজাপতির মতোনানান রঙের ফুলের পরেবসে যেতাম চুপটি করেখেয়াল মতো নানান ফুলেরসুবাস নিতাম কতো ।এমন হতো যদিপাখি হয়ে পেরিয়ে যেতামকত পাহাড় নদীদেশ বিদেশের অবাক ছবিএক পলকের দেখে সবইসাতটি সাগর পাড়ি দিতামউড়ে নিরবধি ।এমন…
Tag: সুকুমার বড়ুয়া
সুকুমার বড়ুয়া
সুকুমার বড়ুয়া (জন্ম:১৯৩৮ সালের ৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশের প্রখ্যাত ছড়াকার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছড়া রচনায় ব্যাপৃত রয়েছেন। বিষয়-বৈচিত্র্য, সরস উপস্থাপনা, ছন্দ ও অন্তমিলের অপূর্ব সমন্বয় তার ছড়াকে করেছে স্বতন্ত্র। প্রাঞ্জল ভাষায় আটপৌরে বিষয়কেও তিনি ছড়ায় ভিন্নমাত্রা দেন। তার ছড়া একাধারে বুদ্ধিদীপ্ত, তীক্ষ্ণ , শাণিত আবার কোমলও বটে।
জন্ম এবং পরিবার
সুকুমার বড়ুয়ার জন্ম ১৯৩৮ সালের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার মধ্যম বিনাজুরি গ্রামে। তার বাবার নাম সর্বানন্দ বড়ুয়া এবং মা কিরণ বালা বড়ুয়া। চট্টগ্রামের গহিরা গ্রামের শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বড়ুয়ার মেয়ে ননী বালার সাথে ১৯৬৪ সালের ২১ এপ্রিল তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। ব্যক্তিগত জীবনে সুকুমার বড়ুয়া তিন মেয়ে এবং এক ছেলের জনক।
পড়াশুনা
বর্ণজ্ঞান থেকে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি মামা বাড়ির স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ এরপর বড় দিদির বাড়িতে এসে তিনি ডাবুয়া খালের পাশে ‘ডাবুয়া স্কুল’ এ ভর্তি হন৷ কিন্তু সেই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মজীবন
অল্প বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন সময় মেসে কাজ করেছেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য একটা সময় তিনি ফলমূল, আইসক্রিম, বুট বাদাম ইত্যাদি ফেরী করে বিক্রি করেছেন৷ ১৯৬২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চৌষট্টি টাকা বেতনের চাকরি হয় তার৷ ১৯৭৪ সালে পদোন্নতি হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্য কর্ম
- পাগলা ঘোড়া (১৯৭০, বাংলা একাডেমী)
- ভিজে বেড়াল (১৯৭৬, মুক্তধারা)
- চন্দনা রঞ্জনার ছড়া (১৯৭৯, মুক্তধারা)
- এলোপাতাড়ি (১৯৮০, বাংলা একাডেমী)
- নানা রঙের দিন (১৯৮১, শিশু একাডেমী)
- সুকুমার বড়ুয়ার ১০১টি ছড়া (১৯৯১, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র)
- চিচিং ফাঁক (১৯৯২, ওলট পালট প্রকাশনী)
- কিছু না কিছু (১৯৯৫, বিশাখা প্রকাশনী)
- প্রিয় ছড়া শতক (১৯৯৭, মিডিয়া)
- বুদ্ধ চর্চা বিষয়ক ছড়া (১৯৯৭, সৌগতঃ ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় )
- ঠুস্ঠাস্ (১৯৯৮, প্রজাপতি প্রকাশন)
- নদীর খেলা (১৯৯৯, শিশু একাডেমী)
- আরো আছে (২০০৩, আরো প্রকাশন)
- ছড়া সমগ্র (২০০৩, সাহিত্যিকা)
- ঠিক আছে ঠিক আছে (২০০৬, প্রবাস প্রকাশনী, লন্ডন)
- কোয়াল খাইয়ে (২০০৬, বলাকা, চট্টগ্রাম)
- ছোটদের হাট – (২০০৯, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী)
- লেজ আবিষ্কার – (২০১০, প্রথমা প্রকাশন)
- ছড়াসাহিত্যিক সুকুমার বড়ুয়া সম্মাননা গ্রন্থ (২০১১)
- বুদ্ধ চর্চা বিষয়ক ছড়া (১৯৯৭, সৌগতঃ ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় )
পুরস্কার
- বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৭)
- ঢালী মনোয়ার স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯২)
- বৌদ্ধ একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৪)
- বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৭)
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ সম্মাননা (১৯৯৭)
- অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য সম্মাননা (১৯৯৭)
- জনকণ্ঠ প্রতিভা সম্মাননা (১৯৯৮)
- আলাওল শিশু সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৯)
- চোখ সাহিত্য পুরস্কার, ভারত (১৯৯৯)
- নন্দিনী শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব (শিশু সাহিত্য) (২০০০)
- আইরিন আফসানা ছড়া পদক (২০০২)
- স্বরকল্পন কবি সম্মাননা পদক (২০০৪)
- শিরি এ্যাওয়ার্ড (২০০৫)
- শব্দপাঠ পদক (২০০৬)
- বৌদ্ধ সমিতি যুব সম্মাননা (২০০৬)
- চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সম্মাননা (২০০৬)
- অবসর সাহিত্য পুরস্কার (২০০৬)
- মোহাম্মদ মোদাব্বের হোসেন আরা স্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)
- লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক (২০০৭)
- রকিবুল ইসলাম ছড়া পদক (২০০৮)
- লিমেরিক সোসাইটি পুরস্কার (২০০৯)
- রাউজান ক্লাব সম্মাননা (২০০৯)
- কবীর চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার (২০১০)
- একুশে পদক (২০১৭)