– সলিল চৌধুরী সেদিন রাত্রে সারা কাকদ্বীপে হরতালহয়েছিলোসেদিন আকাশে জলভরা মেঘবৃষ্টিরবেদনাকে বুকে চেপে ধরে থমকে দাঁড়িয়েছিলোএই পৃথিবীর আলো বাতাসের অধিকারপেয়েপায়নি যে শিশু জন্মের ছাড়পত্রতারই দাবী নিয়ে সেদিন রাত্রেসারা কাকদ্বীপেকোন গাছে কোন কুঁড়িরা ফোটেনিকোন অঙ্কুর মাথাও তোলেনিপ্রজাপতি যতো আরও একদিনগুটিপোকা হয়েছিলোসেদিন…
Tag: সলিল চৌধুরী
সলিল চৌধুরী
সলিল চৌধুরী (হিন্দি: सलिल चौधरी, মালয়ালম: സലില് ചൗധരി) (নভেম্বর ১৯, ১৯২৫ – সেপ্টেম্বর ৫, ১৯৯৫) একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি, এবং মালয়ালম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে এবং গণসংগীতের প্রণেতা হিসেবে তিনি একজন স্মরণীয় বাঙালি। তার গুণগ্রাহীদের কাছে তিনি সলিলদা বলেই পরিচিত।
প্রাথমিক জীবন
সলিল চৌধুরী দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রাজপুর সোনারপুর অঞ্চলের গাজিপুরে এক হিন্দু কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জ্ঞানেন্দ্রময় চৌধুরী, আসামের লতাবাড়ি চা বাগানে ডাক্তারি করতেন। বাবার কাছেই সলিল চৌধুরীর সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি। জ্যাঠাতো দাদা নিখিল চৌধুরীর কাছেও সংগীতের তালিম গ্রহণ করেন তিনি। মূলত নিখিল চৌধুরীর ঐক্যবাদন দল ‘মিলন পরিষদ’-এর মাধ্যমেই গানের জগতে শৈশবেই সম্পৃক্তি। তার শৈশবের বেশির ভাগ সময় কেটেছে আসামের চা বাগানে। আট ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সুভাষগ্রামে, (পুরাতন নাম কোদালিয়া) মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন। হারিনাভি বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং উচ্চ মাধ্যমিক (আইএসসি) পাশ করেন। এরপর কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
কর্মজীবন
প্রারম্ভিক প্রভাব
ছোটবেলা থেকেই তিনি তার পিতার সংগ্রহে থাকা পাশ্চাত্য উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুনতেন। তার পিতা চা বাগানের কুলি এবং স্বল্প বেতনের কর্মচারীদের সাথে মঞ্চ নাটকের জন্য সুখ্যাতি সম্পন্নছিলেন। তিনি কলকাতায় অবস্থিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং এ সময়েই তার সঙ্গীত জ্ঞানে পরিপক্কতা লাভের পাশাপাশি দ্রুত তার রাজনৈতিক ধারণা জন্মায়। তিনি দারুণ মেধা সম্পন্ন ছিলেন।
চলচ্চিত্র কর্মজীবন
তার প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র “পরিবর্তন” মুক্তি পায় ১৯৪৯ সালে। তার ৪১টি বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল “মহাভারতী” যা ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়।
পাশ্চাত্য প্রভাব
সলিল চৌধুরীর সঙ্গীতে পশ্চিমা এবং ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সমান মিশ্রণ লক্ষ করা যায়।
ব্যক্তিগত জীবন
সলিল চৌধুরী বিয়ে করেছিলেন জ্যোতি চৌধুরী এবং সবিতা চৌধুরীকে।প্রথম স্ত্রী জ্যোতি চৌধুরী।সলিল চৌধুরীর দুই কন্যা এবং এক পুত্র রয়েছে।
গ্রন্থতালিকা
কবিতা
- প্রান্তরের গান
- সলিল চৌধুরীর গান (১৯৮৩)
চলচ্চিত্র তালিকা
- পরিবর্তন
- দুই বিঘা জমি
- মায়া
- কাবুলিওয়ালা
- মধুমতি
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
বছর | শিরোনাম | শিরোনামের লেখ |
---|---|---|
১৯৫৮ | মধুমতি | ফিল্মফেয়ার সেরা সঙ্গীত পরিচালক |
১৯৮৮ | — | সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কার |
বয়স
– সলিল চৌধুরী এমনও মুহূর্ত আসেমনে হয়হাজার বছর ধরে বাঁচার যে সুখএ মুহূর্তে তাই পেয়ে গেছি –সে হিসেবে আমার বয়সকয়েক সহস্র কোটি অর্বুদেরওপ্রায় কাছাকাছি।অন্যথায় এমনও বলতে পারোযে ক’টি মুহূর্ত তুমি কাছাকাছি ছিলে…সে ক’টি মুহূর্ত শুধুআমি বেঁচে আছি
কবিতা
– সলিল চৌধুরী এমন কোনও অনুভূতি আসে যদি কখনোযে আমার বৌ-এর মতোনাম যার সবিতা।অনুভব করা যাকে যায় না কখনোঅথচ সে সর্বক্ষণ ছেয়ে থাকে বুকেশত সুখে দুখেনাম তার কবিতা।
ফাঁদ
– সলিল চৌধুরী আমার ইচ্ছেগুলো প্রজাপতি হয়েঘাসে ঘাসে বনে বনেওড়ে আর ফেরেআমার মনের মতো ছোট এক ছেলেজাল নিয়ে পিছু পিছুঘোরে আর ফেরেইচ্ছে ধরার সাধ জাল দিয়ে বেঁধেতাই তার দিন গেল কেঁদে আর কেঁদে।আমার আর একটা ইচ্ছা‘তুমি’ তার নামতারও হাতে জাল…
ইউলিসিস
– সলিল চৌধুরী এক বড় ঝড়কে পোষ মানিয়েহাতপাখা নাম দিয়ে ঘরে এনেছিদুরন্ত বন্যাকে কোণঠাসা করেএকটি গেলাসে তাকে পান করেছিসূর্যের পিঠে আমি হাত বুলিয়েকিছু তার তেজ এনে আলো জ্বেলেছিতারা ভরা বিশ্বকে অক্ষর করেছোট এক বই লিখে পড়ে ফেলেছি Share
এক গুচ্ছ চাবি
– সলিল চৌধুরী উত্তরাধিকার সূত্রেপেয়েছি শুধু এক গুচ্ছ চাবিছোটো-বড়ো মোটা-বেঁটেনানারকমের নানা ধরনের চাবিমা বললেন, যত্ন করে তুলে রেখে দে… তারপর যখন বয়স বাড়লোজীবন এবং জীবিকার সন্ধানেপথে নামতে হোলপকেটে সম্বল শুধু সেই এক গুচ্ছ চাবিছোটো বড়ো মোটা বেঁটেনানারকমের নানা ধরনের চাবি………