শপথ

– সলিল চৌধুরী সেদিন রাত্রে সারা কাকদ্বীপে হরতালহয়েছিলোসেদিন আকাশে জলভরা মেঘবৃষ্টিরবেদনাকে বুকে চেপে ধরে থমকে দাঁড়িয়েছিলোএই পৃথিবীর আলো বাতাসের অধিকারপেয়েপায়নি যে শিশু জন্মের ছাড়পত্রতারই দাবী নিয়ে সেদিন রাত্রেসারা কাকদ্বীপেকোন গাছে কোন কুঁড়িরা ফোটেনিকোন অঙ্কুর মাথাও তোলেনিপ্রজাপতি যতো আরও একদিনগুটিপোকা হয়েছিলোসেদিন…

বয়স 

– সলিল চৌধুরী এমনও মুহূর্ত আসেমনে হয়হাজার বছর ধরে বাঁচার যে সুখএ মুহূর্তে তাই পেয়ে গেছি –সে হিসেবে আমার বয়সকয়েক সহস্র কোটি অর্বুদেরওপ্রায় কাছাকাছি।অন্যথায় এমনও বলতে পারোযে ক’টি মুহূর্ত তুমি কাছাকাছি ছিলে…সে ক’টি মুহূর্ত শুধুআমি বেঁচে আছি

কবিতা

– সলিল চৌধুরী এমন কোনও অনুভূতি আসে যদি কখনোযে আমার বৌ-এর মতোনাম যার সবিতা।অনুভব করা যাকে যায় না কখনোঅথচ সে সর্বক্ষণ ছেয়ে থাকে বুকেশত সুখে দুখেনাম তার কবিতা।

ফাঁদ

 – সলিল চৌধুরী আমার ইচ্ছেগুলো প্রজাপতি হয়েঘাসে ঘাসে বনে বনেওড়ে আর ফেরেআমার মনের মতো ছোট এক ছেলেজাল নিয়ে পিছু পিছুঘোরে আর ফেরেইচ্ছে ধরার সাধ জাল দিয়ে বেঁধেতাই তার দিন গেল কেঁদে আর কেঁদে।আমার আর একটা ইচ্ছা‘তুমি’ তার নামতারও হাতে জাল…

ইউলিসিস

– সলিল চৌধুরী এক বড় ঝড়কে পোষ মানিয়েহাতপাখা নাম দিয়ে ঘরে এনেছিদুরন্ত বন্যাকে কোণঠাসা করেএকটি গেলাসে তাকে পান করেছিসূর্যের পিঠে আমি হাত বুলিয়েকিছু তার তেজ এনে আলো জ্বেলেছিতারা ভরা বিশ্বকে অক্ষর করেছোট এক বই লিখে পড়ে ফেলেছি Share

এক গুচ্ছ চাবি 

– সলিল চৌধুরী উত্তরাধিকার সূত্রেপেয়েছি শুধু এক গুচ্ছ চাবিছোটো-বড়ো মোটা-বেঁটেনানারকমের নানা ধরনের চাবিমা বললেন, যত্ন করে তুলে রেখে দে… তারপর যখন বয়স বাড়লোজীবন এবং জীবিকার সন্ধানেপথে নামতে হোলপকেটে সম্বল শুধু সেই এক গুচ্ছ চাবিছোটো বড়ো মোটা বেঁটেনানারকমের নানা ধরনের চাবি………