কাবুলিওয়ালা

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাবুলিওয়ালা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর                 আমার পাঁচ বছর বয়সের ছোটো মেয়ে মিনি এক দণ্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া ভাষা শিক্ষা করিতে সে কেবল একটি বৎসর কাল ব্যয় করিয়াছিল, তাহার পর হইতে যতক্ষণ সে…

বলাই

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলাই– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের জীবনটা পৃথিবীর নানা জীবের ইতিহাসের নানা পরিচ্ছেদের উপসংহারে, এমন একটা কথা আছে। লোকালয়ে মানুষের মধ্যে আমরা নানা জীবজন্তুর প্রচ্ছন্ন পরিচয় পেয়ে থাকি, সে কথা জানা। বস্তুত আমরা মানুষ বলি সেই পদার্থকে যেটা আমাদের…

ইঁদুরের ভোজ

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইঁদুরের ভোজ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছেলেরা বললে, ভারি অন্যায়, আমরা নতুন পণ্ডিতের কাছে কিছুতেই পড়ব না৷ নতুন পণ্ডিতমশায় যিনি আসছেন তাঁর নাম কালীকুমার তর্কালঙ্কার৷ ছুটির পরে ছেলেরা রেলগাড়িতে যে যার বাড়ি থেকে ফিরে আসছে ইস্কুলে৷ ওদের মধ্যে একজন…

সম্পত্তি সমর্পণ

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পত্তি সমর্পণলেখক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম পরিচ্ছেদ বৃন্দাবন কুণ্ড মহাক্রুদ্ধ হইয়া আসিয়া তাহার বাপকে কহিল, “আমি এখনই চলিলাম।” বাপ যজ্ঞনাথ কুণ্ড কহিলেন, “বেটা অকৃতজ্ঞ, ছেলেবেলা হইতে তোকে খাওয়াইতে পরাইতে যে ব্যয় হইয়াছে তাহার পরিশোধ করিবার নাম নাই, আবার…

পোস্টমাস্টার

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পোস্টমাস্টার– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম কাজ আরম্ভ করিয়াই উলাপুর গ্রামে পোস্ট্‌মাস্টারকে আসিতে হয়। গ্রামটি অতি সামান্য। নিকটে একটি নীলকুঠি আছে, তাই কুঠির সাহেব অনেক জোগাড় করিয়া এই নূতন পোস্ট্‌আপিস স্থাপন করাইয়াছে। আমাদের পোস্ট্‌মাস্টার কলিকাতার ছেলে। জলের মাছকে ডাঙায়…

একটা আষাঢ়ে গল্প

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটা আষাঢ়ে গল্পলেখক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১ দূর সমুদ্রের মধ্যে একটা দ্বীপ। সেখানে কেবল তাসের সাহেব, তাসের বিবি টেক্কা এবং গােলামের বাস। দুরি তিরি হইতে নহলা দহলা পর্যন্ত আরও অনেক-ঘর গৃহস্থ আছে, কিন্তু তাহারা উচ্চজাতীয় নহে। টেক্কা সাহেব…

একরাত্রি

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একরাত্রি– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরবালার সঙ্গে একত্রে পাঠশালায় গিয়াছি, এবং বউ-বউ খেলিয়াছি। তাহাদের বাড়িতে গেলে সুরবালার মা আমাকে বড়ো যত্ন করিতেন এবং আমাদের দুইজনকে একত্র করিয়া আপনা-আপনি বলাবলি করিতেন, “আহা, দুটিতে বেশ মানায় ।” ছোটো ছিলাম, কিন্তু কথাটার…

তোতাকাহিনী

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তোতাকাহিনী– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১ এক-যে ছিল পাখি। সে ছিল মূর্খ। সে গান গাহিত, শাস্ত্র পড়িত না। লাফাইত, উড়িত, জানিত না কায়দাকানুন কাকে বলে। রাজা বলিলেন, ‘এমন পাখি তো কাজে লাগে না, অথচ বনের ফল খাইয়া রাজহাটে ফলের…

অপরিচিতা

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অপরিচিতা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়ো, না গুণের হিসাবে। তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইহা সেই ফুলের মতো যাহার বুকের উপরে ভ্রমর আসিয়া বসিয়াছিল, এবং সেই পদক্ষেপের ইতিহাস…

রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   যাহারা বলে, গুরুচরণের মৃত্যুকালে তাঁহার দ্বিতীয় পক্ষের সংসারটি অন্তঃপুরে বসিয়া তাস খেলিতেছিলেন, তাহারা বিশ্বনিন্দুক, তাহারা তিলকে তাল করিয়া তোলে। আসলে গৃহিণী তখন এক পায়ের উপর বসিয়া দ্বিতীয় পায়ের হাঁটু চিবুক পর্যন্ত উত্থিত করিয়া…

হৈমন্তী

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের…

ছুটি

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছুটি বালকদিগের সর্দার ফটিক চক্রবর্তীর মাথায় চট করিয়া একটা নূতন ভাবােদয় হইল; নদীর ধারে একটা প্রকাণ্ড শালকাষ্ঠ মাস্তুলে রূপান্তরিত হইবার প্রতীক্ষায় পড়িয়া ছিল; স্থির হইল, সেটা সকলে মিলিয়া গড়াইয়া লইয়া যাইবে।যে ব্যক্তির কাঠ আবশ্যক-কালে তাহার যে কতখানি…

সুভা

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেয়েটির নাম যখন সুভাষিণী রাখা হইয়াছিল তখন কে জানিত সে বোবা হইবে। তাহার দুটি বড়ো বোনকে সুকেশিনী ও সুহাসিনী নাম দেওয়া হইয়াছিল, তাই মিলের অনুরোধে তাহার বাপ ছোটো মেয়েটির নাম সুভাষিণী রাখে। এখন সকলে তাহাকে সংক্ষেপে সুভা বলে।দস্তুরমত…

পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রিওই কেটে গেল; ওরে যাত্রী।তোমার পথের ‘পরে তপ্ত রৌদ্র এনেছে আহ্বানরুদ্রের ভৈরব গান।দূর হতে দূরেবাজে পথ শীর্ণ তীব্র দীর্ঘতান সুরে,যেন পথহারাকোন্‌ বৈরাগীর একতারা। ওরে যাত্রী,ধূসর পথের ধুলা সেই তোর ধাত্রী;চলার অঞ্চলে তোরে ঘূর্ণাপাকে বক্ষেতে আবরিধরার…

যৌবন রে, তুই কি রবি সুখের খাঁচাতে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যৌবন রে, তুই কি রবি সুখের খাঁচাতে।তুই যে পারিস কাঁটাগাছের উচ্চ ডালের ‘পরেপুচ্ছ নাচাতে।তুই পথহীন সাগরপারের পান্থ,তোর ডানা যে অশান্ত অক্লান্ত,অজানা তোর বাসার সন্ধানে রেঅবাধ যে তোর ধাওয়া;ঝড়ের থেকে বজ্রকে নেয় কেড়েতোর যে দাবিদাওয়া। যৌবন রে, তুই কি…

ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে।দুঃখ-সুখের লীলাভাবিস এ কি রইবে বক্ষে চেপেজগদ্দলন-শিলা।চলেছিস রে চলাচলের পথেকোন্‌ সারথির উধাও মনোরথে?নিমেষতরে যুগে যুগান্তরেদিবে না রাশ-ঢিলা। শিশু হয়ে এলি মায়ের কোলে,সেদিন গেল ভেসে।যৌবনেরি বিষম দোলার দোলেকাটল কেঁদে হেসে।রাত্রে যখন হচ্ছিল দীপ জ্বালাকোথায় ছিল…

তোমারে কি বারবার করেছিনু অপমান

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তোমারে কি বারবার করেছিনু অপমান।এসেছিলে গেয়ে গানভোরবেলা;ঘুম ভাঙাইলে ব’লে মেরেছিনু ঢেলাবাতায়ন হতে,পরক্ষণে কোথা তুমি লুকাইলে জনতার স্রোতে।ক্ষুধিত দরিদ্রসমমধ্যাহ্নে, এসেছে দ্বারে মম।ভেবেছিনু, এ কী দায়,কাজের ব্যাঘাত এ-যে।’ দূর হতে করেছি বিদায়। সন্ধ্যাবেলা এসেছিলে যেন মৃত্যুদূতজ্বালায়ে মশাল-আলো, অস্পষ্ট অদ্ভুতদুঃস্বপ্নের মতো।দস্যু…

যে-কথা বলিতে চাই

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে-কথা বলিতে চাই,বলা হয় নাই,সে কেবল এই–চিরদিবসের বিশ্ব আঁখিসম্মুখেইদেখিনু সহস্রবারদুয়ারে আমার।অপরিচিতের এই চির পরিচয়এতই সহজে নিত্য ভরিয়াছে গভীর হৃদয়সে-কথা বলিতে পারি এমন সরল বাণীআমি নাহি জানি। শূন্য প্রান্তরের গান বাজে ওই একা ছায়াবটে;নদীর এপারে ঢালু তটেচাষি করিতেছে চাষ;উড়ে…

এইক্ষণে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এইক্ষণেমোর হৃদয়ের প্রান্তে আমার নয়ন-বাতায়নেযে-তুমি রয়েছ চেয়ে প্রভাত-আলোতেসে-তোমার দৃষ্টি যেন নানা দিন নানা রাত্রি হতেরহিয়া রহিয়াচিত্তে মোর আনিছে বহিয়ানীলিমার অপার সংগীত,নিঃশব্দের উদার ইঙ্গিত। আজি মনে হয় বারে বারেযে মোর স্মরণের দূর পরপারেদেখিয়াছ কত দেখাকত যুগে, কত লোকে, কত…

সর্বদেহের ব্যাকুলতা কী বলতে চায় বাণী

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বদেহের ব্যাকুলতা কী বলতে চায় বাণী,তাই আমার এই নূতন বসনখানি।নূতন সে মোর হিয়ার মধ্যে দেখতে কি পায় কেউ।সেই নূতনের ঢেউঅঙ্গ বেয়ে পড়ল ছেয়ে নূতন বসনখানি।দেহ-গানের তান যেন এই নিলেম বুকে টানি। আপনাকে তো দিলেম তারে, তবু হাজার বারনূতন…

সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকাআঁধারে মলিন হল–যেন খাপে-ঢাকাবাঁকা তলোয়ার;দিনের ভাঁটার শেষে রাত্রির জোয়ারএল তার ভেসে-আসা তারাফুল নিয়ে কালো জলে;অন্ধকার গিরিতটতলেদেওদার তরু সারে সারে;মনে হল সৃষ্টি যেন স্বপ্নে চায় কথা কহিবারে,বলিতে না পারে স্পষ্ট করি,অব্যক্ত ধ্বনির পুঞ্জ অন্ধকারে উঠিছে…

আজ প্রভাতের আকাশটি এই

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ প্রভাতের আকাশটি এইশিশির-ছলছল,নদীর ধারের ঝাউগুলি ওইরৌদ্রে ঝলমল,এমনি নিবিড় করেএরা দাঁড়ায় হৃদয় ভরেতাই তো আমি জানিবিপুল বিশ্বভুবনখনিঅকূল মানস-সাগরজলেকমল টলমল।তাই তো আমি জানিআমি বাণীর সাথে বাণী,আমি গানের সাথে গান,আমি প্রাণের সাথে প্রাণ,আমি অন্ধকারের হৃদয়-ফাটাআলোক জ্বলজ্বল।

আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলেতোমার মনের দিকে।সকালবেলার আলোয় আমি সকল কর্ম ভুলেরইনু অনিমিখে। দেখতে পেলেম তুমি মোরেসদাই ডাক যে-নাম ধ’রেসে-নামটি এই চৈত্রমাসের পাতায় পাতায় ফুলেআপনি দিলে লিখে।সকালবেলার আলোতে তাই সকল কর্ম ভুলেরইনু অনিমিখে। আমার সুরের পর্দাটি…

জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও,খুশি হয়ে পথের পানে চাও।খুশি তোমার ফুটে ওঠে শরৎ-আকাশেঅরুণ-আভাসে।খুশি তোমার ফাগুনবনে আকুল হয়ে পড়েফুলের ঝড়ে ঝড়ে।আমি যতই চলি তোমার কাছেপথটি চিনে চিনেতোমার সাগর অধিক করে নাচেদিনের পরে দিনে। জীবন হতে…

আজ এই দিনের শেষে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ এই দিনের শেষেসন্ধ্যা যে ওই মানিকখানি পরেছিল চিকন কালো কেশেগেঁথে নিলেম তারেএই তো আমার বিনিসুতার গোপন গলার হারে।চক্রবাকের নিদ্রানীরব বিজন পদ্মাতীরেএই সে সন্ধ্যা ছুঁইয়ে গেল আমার নতশিরেনির্মাল্য তোমারআকাশ হয়ে পার;ওই যে মরি মরিতরঙ্গহীন স্রোতের ‘পরে ভাসিয়ে দিল…

নিত্য তোমার পায়ের কাছে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিত্য তোমার পায়ের কাছেতোমার বিশ্ব তোমার আছেকোনোখানে অভাব কিছু নাই।পূর্ণ তুমি, তাইতোমার ধনে মানে তোমার আনন্দ না ঠেকে।তাই তো একে একেযা-কিছু ধন তোমার আছে আমার ক’রে লবে।এমনি করেই হবেএ ঐশ্বর্যে তবতোমার আপন কাছে, প্রভু, নিত্য নব নব।এমনি করেই…

যেদিন তুমি আপনি ছিলে একা

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেদিন তুমি আপনি ছিলে একাআপনাকে তো হয় নি তোমার দেখা।সেদিন কোথাও কারো লাগি ছিল না পথ-চাওয়া;এপার হতে ওপার বেয়েবয় নি ধেয়েকাঁদন-ভরা বাঁধন-ছেঁড়া হাওয়া। আমি এলেম, ভাঙল তোমার ঘুম,শূন্যে শূন্যে ফুটল আলোর আনন্দ-কুসুম।আমায় তুমি ফুলে ফুলেফুটিয়ে তুলেদুলিয়ে দিলে নানা…

যে-বসন্ত একদিন করেছিল কত কোলাহল

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে-বসন্ত একদিন করেছিল কত কোলাহললয়ে দলবলআমার প্রাঙ্গণতলে কলহাস্য তুলেদাড়িম্বে পলাশগুচ্ছে কাঞ্চনে পারুলে;নবীন পল্লবে বনে বনেবিহ্বল করিয়াছিল নীলাম্বর রক্তিম চুম্বনে;সে আজ নিঃশব্দে আসে আমার নির্জনে;অনিমেষেনিস্তব্ধ বসিয়া থাকে নিভৃত ঘরের প্রান্তদেশেচাহি সেই দিগন্তের পানেশ্যামশ্রী মূর্ছিত হয়ে নীলিমায় মরিছে যেখানে।

স্বর্গ কোথায় জানিস কি তা ভাই

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বর্গ কোথায় জানিস কি তা ভাই।তার ঠিক-ঠিকানা নাই।তার আরম্ভ নাই,নাই রে তাহার শেষ,ওরে নাই রে তাহার দেশ,ওরে নাই রে তাহার দিশা,ওরে নাই রে দিবস, নাই রে তাহার নিশা। ফিরেছি সেই স্বর্গে শূন্যে শূন্যেফাঁকির ফাঁকা ফানুসকত যে যুগ-যুগান্তরের পুণ্যেজন্মেছি…

কোন্‌ ক্ষণে

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন্‌ ক্ষণেসৃজনের সমুদ্রমন্থনেউঠেছিল দুই নারীঅতলের শয্যাতল ছাড়ি।একজনা উর্বশী, সুন্দরী,বিশ্বের কামনা-রাজ্যে রানী,স্বর্গের অপ্সরী।অন্যজনা লক্ষ্মী সে কল্যাণী,বিশ্বের জননী তাঁরে জানি,স্বর্গের ঈশ্বরী। একজন তপোভঙ্গ করিউচ্চহাস্য-অগ্নিরসে ফাল্গুনের সুরাপাত্র ভরিনিয়ে যায় প্রাণমন হরি,দু-হাতে ছড়ায় তারে বসন্তের পুষ্পিত প্রলাপে,রাগরক্ত কিংশুকে গোলাপে,নিদ্রাহীন যৌবনের গানে। আরজন…

Posts navigation