– কালীপ্রসন্ন ঘোষ ‘পারিব না’ একথাটি বলিও না আর,কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার;পাঁচজনে পারে যাহা,তুমিও পারিবে তাহা,পার কি না পার কর যতন আবারএকবার না পারিলে দেখ শতবার। পারিবে না বলে মুখ করিও না ভার,ও কথাটি মুখে যেন না শুনি…
Tag: কালীপ্রসন্ন ঘোষ
কালীপ্রসন্ন ঘোষ
কালীপ্রসন্ন ঘোষ (জুলাই ২৩, ১৮৪৩ – অক্টোবর ২৯, ১৯১০) ছিলেন একজন বাঙালী সাহিত্যিক। তিনি ছিলেন একাধারে লেখক, সাংবাদিক ও বাগ্মী।
জন্ম
১৮৪৩ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা বিভাগের বিক্রমপুরের ভরাকর গ্রামে তার জন্ম। তার পিতার নাম শিবনাথ ঘোষ।
শিক্ষাজীবন
কালীপ্রসন্ন ঘোষ মকতব, চতুষ্পাঠী ও ইংরেজি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে তিনি এন্ট্রান্স পাস করেন। বাল্যকালেই তিনি সংস্কৃত, ফারসি ও বাংলা ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন। পরে ইংরেজি ভাষাও আয়ত্ত করেন।
কর্মময়তা
বাল্যকাল থেকেই তিনি বাগ্মিতার পরিচয় দেন। মাত্র বিশ বছর তখন তিনি কলকাতার ভবানীপুরে খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে এক বক্তৃতা দিয়ে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ মনীষীর প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। এরপর থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের সঙ্গে তার একটা যোগসূত্র স্থাপিত হয় এবং পরবর্তীতে তিনি ব্রাহ্মসমাজে যোগদান করেন।
লেখালেখি
কালীপ্রসন্ন মূলত দর্শন ও সমাজ সম্পর্কে লিখতেন।
প্রবন্ধ
- প্রভাত-চিন্তা (১৮৭৭)
- নিভৃত-চিন্তা (১৮৮৩)
- নারীজাতিবিষয়ক প্রস্তাব (১৮৯৬)
- নিশীথ-চিন্তা (১৮৯৬)
গ্রন্থ
- ভ্রান্তিবিনোদ (১৮৮১)
- প্রমোদলহরী (১৮৯৫)
- ভক্তির জয় (১৮৯৫)
- মা না মহাশক্তি (১৯০৫)
- জানকীর অগ্নিপরীক্ষা (১৯০৫)
- ছায়াদর্শন (১৯০৫) প্রভৃতি।
এ ছাড়া “সঙ্গীতমঞ্জরী” (১৮৭২) নামে একখানা আধ্যাত্মিক সঙ্গীতসংগ্রহ এবং “কোমল কবিতা” (১৮৮৮) নামে একখানা শিশুপাঠ্য গ্রন্থও তিনি রচনা করেন।
কালীপ্রসন্নের রচনারীতি বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র এবং ইংরেজ পণ্ডিত কার্লাইলের দ্বারা অনেকাংশে প্রভাবিত। তার রচনাসমূহ ভাবগাম্ভীর্য, ইতিহাসচেতনা ও গভীর জীবনবোধেপূর্ণ।
পুরস্কার
ইংরেজ সরকার তাকে পান্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৯৭ সালে “রায়বাহাদুর” এবং ১৯০৯ সালে “সিআইই” উপাধি প্রদান করে। বাংলার পণ্ডিতগণ তাকে “বিদ্যাসাগর” উপাধিতে অভিষিক্ত করেন।
মৃত্যু
১৯১০ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।