– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বল দেখি এ জগতে ধার্মিক কে হয়,সর্ব জীবে দয়া যার, ধার্মিক সে হয়।বল দেখি এ জগতে সুখী বলি কারে,সতত আরোগী যেই, সুখী বলি তারে।বল দেখি এ জগতে বিজ্ঞ বলি কারে,হিতাহিত বোধ যার, বিজ্ঞ বলি তারে।বল দেখি এ…
Tag: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
জন্মস্থান | নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
---|---|
মৃত্যু | ২৩ জানুয়ারী ১৮৫৯ |
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন কবি ও সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৮১২ সালে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলায়। তাঁর পিতা হরিনারায়ণ দাশগুপ্ত এবং মাতা শ্রীমতি দেবী। তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’-এর সম্পাদক ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই মধ্যযুগের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলা কবিতা আধুনিকতার পথে রূপ পেয়েছিলো। তিনি ‘গুপ্ত কবি’ নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’। তাঁর পরবর্তী সাহিত্যিকরা তাকে ‘গুরু’পদে বরণ করেছিলেন। তিনি বহুবিধ পত্র-পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন এবং কবিগান বাঁধতেন। ১৮৫৯ সালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন।
মানুষ কে?
– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত নিয়ত মানসধামে একরূপ ভাব।জগতের সুখ-দুখে সুখ দুখ লাভ।।পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ।সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের কোষ।।নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ।রাজ্যের কুশলকার্যে সদা হাস্যমুখ।।কেবল পরের হিতে প্রেম লাভ যার।মানুষ তারেই বলি মানুষ কে আর? নাহি চায় রাজ্যপদ নাহি চায় ধন।স্বর্গের…
কৌলীন্য
– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মিছা কেন কুল নিয়া কর আঁটাআঁটি।এ যে কুল কুল নয় সার মাত্র আঁটি।।কুলের গৌরব কর কোন্ অভিমানে।মূলের হইলে দোষ কেবা তারে মানে।।ঘটকের মুখে সুধু কুলীনের চোপা।রস নাই যশ কিসে কুল হল টোপা।।আদর হইত তবে ভাঙ্গিলে অরুচি।পোকাধরা সোঁকা…
মাতৃভাষা
– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মায়ের কোলেতে শুয়ে ঊরুতে মস্তক থুয়েখল খল সহাস্য বদন।অধরে অমৃত ক্ষরে আধ আধ মৃদু স্বরেআধ আধ বচনরচন।।কহিতে অন্তরে আশা মুখে নাহি কটু ভাষাব্যাকুল হয়েছে কত তায়।মা-ম্মা-মা-মা-বা-ব্বা-বা-বা আবো আবো আবা আবাসমুদয় দেববাণী প্রায়।।ক্রমেতে ফুটিল মুখ উঠিল মনের সুখএকে…
তপসে মাছ
– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কষিত-কনককান্তি কমনীয় কায়।গালভরা গোঁফ-দাড়ি তপস্বীর প্রায়॥মানুষের দৃশ্য নও বাস কর নীরে।মোহন মণির প্রভা ননীর শরীরে॥পাখি নও কিন্তু ধর মনোহর পাখা।সমধুর মিষ্ট রস সব-অঙ্গে মাখা॥একবার রসনায় যে পেয়েছে তার।আর কিছু মুখে নাহি ভাল লাগে তার॥দৃশ্য মাত্র সর্বগাত্র প্রফুল্লিত…
ভারতের ভাগ্য-বিপ্লব
– ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত পূর্বকার দেশাচার কিছুমাত্র নাহি আরঅনাচারে অবিরত রত।কোথা পূর্ব রীতি নীতি, অধর্মের প্রতি প্রীতি,শ্রুতি হয় শ্রুতিপথহত।।দেশের দারুণ দুখ দেখিয়া বিদরে বুক,চিন্তায় চঞ্চল হয় মন।লিখিতে লেখনী কাঁদে ম্লানমুখ মসীছাঁদেশোক-অশ্রু করে বরিষণ।।কি ছিল কি হ’ল, আহা, আর কি হইবে তাহা,ভারতের…