লেখক জীবন
লেখিকা সাবিনা সিদ্দিকী শিবা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার বাপ-দাদার ভিটা, শরীয়তপুরের ডামুড্যার। তিনি ১৯৮১ সালের ২০ এপ্রিলের পৃথিবীর আলো দেখেন। বাবা মরহুম সিদ্দিকুর রহমান এবং মা মরহুমা মনোয়ারা সিদ্দিকী। তিনি বিবাহিত এবং একটি পুত্র সন্তানের জননী। ছোট বেলা থেকে চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তার হৃদয়ের গহীনে রেখাপাত করে।
ছোটবেলা থেকেই তার লেখাপড়ার প্রতি ছিলো অদম্য আগ্রহ। তখন থেকেই লেখালেখির প্রতি তার অদম্য ইচ্ছা। সেই ইচ্ছা থেকে মনোবল আর তার থেকেই লেখার অনুপ্রেরণা খুঁজে পান তিনি। এই আগ্রহ, ইচ্ছাশক্তি ও কাছের মানুষদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ লেখিকা হয়ে ওঠার মুল অধ্যায়।
মূলত ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি বরাবরই পরিচিত ছিলেন। পাশাপাশি কবি ও গীতিকার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। নামে বা বেনামে তার লেখা অনেক কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণ-কাহিনি ও প্রবন্ধ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখিকা। তার বেশ কিছু উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাপ্তিসমূহ:
লেখালেখির প্রাপ্ত গুণ হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে যেমন প্রশংসা পত্র পেয়েছেন ঠিক তেমনি পেয়েছে অনেকগুলো জাতীয় কবি পরিষদ থেকে বেশকিছু সন্মাননা পেয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে চাঁদপুর সাহিত্যে একাডেমি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের, কে কে আর সেরা উপন্যাসের কবি ও কবিতা ভুবন কাব্য দীপ সম্মাননা, রাইজিং বাংলাদেশ থেকে পুরস্কার, কবিয়াল ফাউন্ডেশন জন্য আরও বিভিন্ন পুরস্কার।
প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১২টির মতো। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গ্রন্থসমূহ হল- তবুও তুমি আমার, আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন, মনের মতো প্রেম, যে প্রেম দ্বিপ জ্বেলে যায়, হৃদয় এক পশলা বৃষ্টি, পঞ্চপাণ্ডব এর দুঃসাহসিক অভিযান, তবুও তুমি আমার এবং সেও কথা রাখেনি। তার প্রকাশিত যৌথকাব্য রয়েছে প্রায় ১৬ টির মত। সেগুলো হল: নীলাঞ্জনার কাব্যকথন, নারীদের স্বপ্নেরতরী, বায়ান্ন থেকে একাত্তর, ধূলিময় শহর, কবি ও কবিতায় শরীয়তপু, মেঘ বালিকার কাব্য কথা, সমস্বপ্ন, সমকালের কবি ও কবিতা, জল, কবিতার কলরব, আলোর প্রভাত, রোমাঞ্চের নীলপদ্ম ইত্যাদি।
পরিশেষে লেখিকার বক্তব্য:
আসসালামু আলাইকুম।
আমি অতিক্ষুদ্র একজন লেখিকা, অনেক বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে সাহিত্যের অঙ্গনে নিজেকে আজ একটা অবস্থানে আনতে সক্ষম হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমি মূলত ১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত লেখালেখিতে জড়িত। কিছুদিন পত্রিকার সাথে কাজ করেছি, লেখালেখিতে সময় দিব বলে সেটাও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আবার প্রয়োজনের তাগিদে স্কুলে চাকুরী করলাম। কিন্তু আমার ইচ্ছে লেখালেখিতে থাকা। যেহেতু তা আমার মনের খোরাক, তাই এটাই মনোযোগী হয়ে স্কুলের চাকুরীটাও ছেড়ে দিলাম।
লেখালেখির সাথে জড়িত তাই জাতীয় কবি পরিষদ নামক একটি সনামধন্য অনলাইন সাহিত্য সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন রয়েছি। সেখানে থাকা কালীন শ্রদ্ধেয় মো: আরিফুর রহমান (প্রকাশক ও সম্পাদক, অচিনপুর এক্সেপ্রেস) ভাইয়ের সাথে পরিচয়। শুরু থেকেই অসম্ভব ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ তিনি। তার প্রতি যতটা ভালোলাগা তারচেয়ে বেশি তিনি সম্মানের আমার কাছে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “অচিনপুর এক্সপেস” অনলাইন সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকাটি। তাদের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সাফল্যের সাথে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে স্বগৌরবে। আমার ভাবতে ভালো লাগছে আমিও এই গুণীদের সান্নিধ্যে থাকতে পেরেছি, তাদের লেখক পোর্টফলিও পেজে। আমি অচিনপুর এক্সেপ্রেস অনলাইন সাহিত্য পত্রিকার ও তাদের ফেসবুক গ্রুপের উত্তরণ সাফল্য কামনা করছি। দোয়া রইল, ভবিষ্যতে সমহিমায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হোক প্রিয় “অচিনপুর এক্সেপ্রেস”।
সাবিনা সিদ্দিকী শিবা
০৫-০২-২০২১