লেখক জীবন
লেখিকা ইভা আলমাস ১৯৬৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করলেও কবির পৈত্রিক ভিটা বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের সাতঘরিয়া গ্রাম। আট ভাইবোনের মাঝে কবি পঞ্চম। বাবা সরকারি চাকুরীজীবি হওয়াতে শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন শহরে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে।ফলে এক ভিন্ন মানসিকতা যাপিত জীবনে প্রভাব ফেলেছে। সঙ্গপ্রিয়তা তাঁর লেখালেখিকে ঋদ্ধ করেছে দারুণভাবে।
ছেলেবেলা থেকেই লেখালেখির হাতে খড়ি। স্কুলের দেয়াল পত্রিকা, ম্যাগাজিন, তৎকালীন জনপ্রিয় কিশোর পত্রিকা ‘কিশোর বাংলা’ ইত্তেফাক, ইনকিলাবসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হতো এবং হচ্ছে। তাঁর লেখায় প্রেম ও জীবনবোধের প্রভাব স্পষ্ট। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।শুরুটা ব্যাংকিং পেশা দিয়ে হলেও পরবর্তীতে শিক্ষকতায় থিতু হন। ধরাবাঁধা নিয়মে তিনি অভ্যস্ত নন, জীবনকে উপভোগ করেন নিজের মতো করে। অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে নিজস্ব পরিমন্ডলে আলাদা একটি ইমেজ গড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
সব ধরণের লেখাকেই প্রধান্য দিয়ে তিনি গল্প, কবিতা, ভ্রমণ কাহিনী,অফটপিকস,শিশুতোষ ছড়া সবকিছুতেই স্বাচ্ছন্দ্য। লেখালেখির জগতে আত্মতুষ্টিকে প্রধান্য দেয়া কবির একক বইয়ের সংখ্যা এ যাবৎকাল মাত্র একটি, ‘সময়ের কাছে বিক্রিত আমি’। যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রায় ৩০টি যার মধ্যে ‘স্বপ্ন সারথি’, ‘কবি ও কবিতার ভুবন কাব্যগ্রন্থ’, ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ ‘গল্পকথা কবিতা সমগ্র’, জীবনের যত কাব্য’, ‘মা’ অন্যতম। ‘শূন্য অনুভব’, ‘অরণ্যে শুদ্ধ ভালোবাসা’ এবং ‘বিবস্ত্র স্বপন’ নামের তিনটি বইয়ের সম্পাদক তিনি যেখানে তার ১০টি করে কবিতা রয়েছে। সংখ্যার চেয়ে মানকে প্রাধান্য দেন অনেক বেশি।
ব্যক্তিগত জীবনে কবি তিন কন্যা সন্তানের জননী। স্বামী আলমাস ফরিদ একজন সরকারি চাকুরীজীবি। জীবনে যা পেয়েছেন তা নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট। এভাবেই তিনি বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান।
পরিশেষে লেখিকার বক্তব্য:
আসসালামু আলাইকুম। ‘লেখক পোর্টফলিও’ পেজটি প্রবর্তন করার জন্য ‘অচিনপুর এক্সপ্রেস’কে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। বিভাগটি নতুন করে লেখকদের জন্য আরো একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলো। এতে করে লেখকেরা নিজেদের পোর্টফলিও তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হবেন। আমার নিজের একটি পোর্টফলিও এখানে রাখতে পেরে অচিনপুর এক্সপ্রেস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সাহিত্যের জয় হোক, সাহিত্য জীবনের কথা বলুক। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা…
ইভা আলমাস
০৭-০২-২০২১