লেখক মোঃ আবদুল গনি ভূঁইয়া

জন্মস্থান: কুড়াখাল, মুরাদনগর, কুমিল্লা
জন্ম তারিখ: ০৪ জানুয়ারী

লেখক জীবন

কবি ও গীতিকার মোঃ আবদুল গনি ভূঁইয়া ০৪ জানুয়ারী ১৯৬৪ সালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কুড়াখাল গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম ভূঁইয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া এবং মাতা মরহুমা আছিয়া খাতুন এর চার (০৪) সন্তানের মধ্যে তিনি প্রথম সন্তান। বর্তমানে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে আতাউল বিন গনি MBA( finance) মেয়ে ইফ্ফাত জেরিন কলি BSC Engineer (CSE) ছোট ছেলে শফি উল্ বিন গনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন রত।

তিনি প্রথম জীবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন রত অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সৈনিক হিসাবে ১৯৮২ সালে যোগদান করেন এবং সম্মানজনক ভাবে চাকরী শেষে ২০০০ সালে পেনশনার হয়ে অবসরে আসেন। ২০০৩ সালে পুনঃরায় সরকারের বিদ্যুৎ সংস্থায় (DESA) চাকরিতে যোগদান করেন এবং বর্তমানে DPDC তে কর্মরত আছেন। দীর্ঘ সরকারের দুটি সংস্থায় চাকরি করা সত্যেও ঢাকা কিংবা গ্রামের বাড়ীতে নিজের জন্য বসবাসে যায়গা বা ঘরবাড়ী করতে পারেন নাই। বর্তমানে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় একটা ভাড়া বাড়ীতে তার সহধর্মিণী অত্যন্ত সাদামাটা সহজসরল মানুষ জুলেখা বেগম ও ছেলেময়েকে নিয়ে বসবাস করেন। উনার মরহুম বাবাও সরকারের ভূমিজরিপ বিভাগের পেস্কার ছিলেন, তিনিও অত্যন্ত সত্জীবন যাপন করে পেনশনের অর্থকড়ি নিয়ে কুমিল্লায় দেশের বাড়ীতে জীবন অতিবাহিত করে গেছেন।

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। সামরিক জীবনে লেখালেখি করলেও প্রকাশনা জগতের সাথে সম্পৃক্ত হন নাই। বর্তমানে তিনি অনলাইন ভার্চুয়াল জগতের একজন সুপরিচিত সুখ্যাত লেখক, সংগঠক। তিনি জাতীয় কবি পরিষদ (জাকপ) এর কেন্দীয় কমিটির সহসভাপতি এবং মডারেটর, Bangladesh Air Force Friends group এর মডারেটর, প্রিয়জন সাহিত্যের ঢাকা কেন্দীয় কমিটির সহসভাপতি, আন্তজার্তিক বাংলা সাহিত্যচর্চা ও কাব্য সমাহার এর কেন্দীয় কমিটির সহসভাপতি, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণ সমিতির কেন্দীয় কমিটির উপদেষ্টা পদে দায়ীত্ব পালন করে থাকেন। দেশ ও বিদেশের নানান সাহিত্যচর্চার অনলাইন ভার্চুয়াল সংগঠন থেকে কবিতা, বিষয় ভিত্তিক বিতর্ক এবং গীতিকবি হিসাবে সম্মাননা ও অসংখ্য প্রশংসা পত্রে ভূষিত হয়েছেন।

দেশ ও বিদেশের নানান সাহিত্যচর্চার অনলাইন ভার্চুয়াল সংগঠন থেকে কবিতা, বিষয় ভিত্তিক বিতর্ক এবং গীতিকবি হিসাবে সম্মাননা ও অসংখ্য প্রশংসা পত্রে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বাংলা একাডেমীর জাতীয় ২১শের বই মেলায় প্রকাশিত একক কবিতার সংকলিত কাব্যগ্রন্থ “বিরহ যাতনা” এবং গীতিকাব্য নামে দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়, তাছাড়া যৌথ কবিতার সংকলিত ও সম্পাদিত, “পয়মন্ত প্রথমা, নক্ষত্রের শত গল্প, ধূলিময় শহর, যদি মনে পড়ে, তোমাকে হয়নি বলা, একুশের কবিতা সংকলন, যদি তুমি জানতে” বইগুলো প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এখনো নিরলস পরিশ্রম করে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা, ভার্চুয়াল সাহিত্যচর্চার গ্রুপে নিয়মি লিখে যাচ্ছেন। প্রায়শই উনার লেখা কবিতা, গল্প,ছেট গল্প,প্রবন্ধ সেরাদের তালিকায় নির্বাচিত হয়ে থাকে। তিনি লেখালেখি জীবনের অন্যতম আদর্শ নেশার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি মনে করেন, কবি, সাহিত্যিক অর্থাৎ যারা লেখালেখি করেন,তারা তাদের মেধা, মননশীলতা চিন্তাভাবনার বিস্ময়কর অনুভবের অনুভূতিগুলো মানবতার কল্যাণে লিপিবদ্ধ করে পুস্তিকা হিসেবে রেখে যেতে পারাই হলো প্রকৃত মানুষের কাজ। তাই তিনি তার গভীর চিন্তা শক্তি গুলো কে কবিতা, গীতিকবিতা, গল্প, প্রবন্ধ নানান মাধ্যমে অব্যহত ভাবে চালিয়ে যেতে চান। মহান প্রভুর ইচ্ছায় জীবনের শেষ সময়টুকু পর্যন্ত তিনি লিখে যাবেন। সকলের দোয়া ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। 

পরিশেষে লেখকের বক্তব্য:

আসসালাম আলায়কুম। আমি অচিনপুর এক্সপ্রেস অনলাইন সাহিত্য গ্রুপের সাথে নিরলস ভাবে সাহিত্যচর্চার কাজ করে যাচ্ছি। অনলাইন সাহিত্যের মৌলিক ধাঁচ ও চর্চার মাধ্যমে মূলতঃ একজন সৃজনশীল লেখক তৈরী ও তাদেরকে উৎসাহে উদ্বুদ্ধ করার মানুষিক প্রেরণা যোগাতে অচিনপুর এক্সপ্রেস সময়ের দাবীতে যথাযথ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। লেখক পোর্টফোলিও পেজ এর গতিশীল কার্যকলাপ এগিয়ে চলার পথ হোক কুসুমাস্তির্ণ। এর মাধ্যমে লেখকদের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো প্রয়াস ও একটি অনলাইন প্লাটফর্ম সৃজন হোক।

আমি অচিনপুর এক্সপ্রেসের সর্বাঙ্গীন ও উত্তরোত্তর মঙল সফলতা কামনা করছি। আমি আশাবাদী একদিন এই অচিনপুর এক্সপ্রেস এর ভেঁপুতে বেহাগের সুরের মূর্ছনাতে এভারেস্ট জয় মতো তারা সাহিত্যের বুকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। আল্ হামদু লিল্লাহ্ আমি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই ভেবে যে, একজন সাধারণ মানুষ গড়ার কারিগরকের ও একজন অতি কিছু নেই যার ভান্ডারে কবি বা লেখক হিসেবে তাকে পৌর্টফোলিও পেজ তৈরী করে আমাকে উপস্থাপন করার জন্য।

লাখো লাখো শুকরিয়া, আমি আন্তরিক ধন্যবাদ আর অন্তহীন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি অচিনপুর এক্সপ্রেসের আমার প্রিয়, স্নেহের অনুজ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবি, আবৃত্তিকার, আরিফুর রহমানকে। অচিনপুর এক্সপ্রেসের কলাকুশলীদেরকেও অন্তহীন কাব্যিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ করীম আরিফকে নেক হায়াত দান করুন। আপনার নিরোগ আর সুন্দর দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করছি।

মোঃ আবদুল গনি ভূঁইয়া
১৮-০২-২০২১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *