রূপকথা নয়(পর্ব ৮)

তাবাসসুম নাজ
টরেন্টো, কানাডা।

উপন্যাস: রূপকথা নয়( পর্ব ৮)

আয়নার সামনে দাড়িয়ে বীথি চুল আঁচড়াচ্ছে। মনটা আজকে খুব ফুরফুরে হয়ে আছে। মাঝেমাঝে কোনো কারণ ছাড়াই মনটা খুশীখুশী থাকে, আজ সকালটা তেমনি একটা সকাল।

প্রসাধন শেষে বীথি গেল লাইব্রেরীতে রাজকুমারী সুরমার খোঁজে। গতরাত্রে সে রাজকুমারীকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে আজ তার কোন বই পড়বার কথা, সেটা তার এতক্ষণে শুরু করে দেবার কথা। কিন্তু লাইব্রেরীতে রাজকুমারী নাই। এদিক ওদিক দেখে কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে রাজপ্রাসাদে খোঁজ করতে থাকে। সেখানেও রাজকুমারীর চিন্হ পাওয়া গেল না। তারপরে গেল রাজউদ্যানে, সেখানেও নাই। কি আশ্চর্য! রাজকুমারী গেল কই? সামনে রাজপ্রহরীদের দেখে কি মনে করে সে তাদের জিজ্ঞেস করতে এক আজব খবর পেল। রাজকুমারীকে নাকি চুপিচুপি প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। অদ্ভুত তো!

রাজকুমারী প্রাসাদের বাইরে গিয়ে করবেটা কি? ভাবতেই এক ভয়ঙ্কর সন্দেহ বীথির মনে দানাবেঁধে উঠল। ঐ ছোকরা রাজকুমারের সাথে সে গোপনে দেখা করতে যায়নি তো? রাজপ্রাসাদে দেখা করলে বীথির হাতে ধরা পড়বার সমূহ সম্ভাবনা; এজন্য হয়ত ঐ অপদার্থ রাজকুমারটা তাকে এই বুদ্ধি দিয়েছে। আর সরলমনা রাজকুমারীও সেটা সাথে সাথে মেনে নিয়েছে। রক্ত গরম হয়ে গেল বীথির, কান দিয়ে তার ধুঁয়া বের হতে লাগল। আজ এর একটা বিহিত সে করেই ছাড়বে। ঐ নাছোড়বান্দা রাজকুমারের বিয়ের শখ যদি সে না ঘুচিয়ে দিয়েছে, তো তার নামই বীথি না। সে নাম বদলে অন্যকিছু রাখবে!

হনহন করে প্রধান ফটক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো বীথি। এখানে আসা অবধি একবারও সে রাজপ্রসাদ ছেড়ে বাইরে যায়নি। দূরদেশের আসল চেহারা যে কেমন সে সম্বন্ধে তার কোনো ধারণা নাই। তাই রাজপ্রাসাদ ছেড়ে বের হতেই সে এক সম্পূর্ণ অপরিচিত দৃশ্যের সম্মুখীন হয়ে গেল। এমন দৃশ্য সে কোথাও দেখেনি। তার সামনে এক ব্যস্ত অতি প্রাচীন শহরের একটা ছবি। শহরের অধিবাসীরা তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে মগ্ন। তবে সে কাজের সাথে তার জীবনের কোথাও কোনো মিল নাই। কেন মিল নাই সেটা সে একটু ভেবেই বের করতে পারল। কারণ এদের জীবনযাত্রা, কাপড়-চোপড়, আচার-আচরণ সব প্রাচীন যুগের মত আটপৌরে আর ঢিলাঢালা, কোনো আধুনিক প্রযুক্তি সেখানে নাই। ঘোড়ারগাড়ি, গরুরগাড়ি, ঠ্যালাগাড়ি দেখা যাচ্ছে। শহরের ঠিক মাঝখানে এক বড়সড় কুয়া, অনেকেই সেখান থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে। একপাশে বাজার, অন্য দিকে কয়েকটা সরাইখানা। এক কুমারকে দেখা গেল মাটির জিনিসপত্র গড়তে।

সবকিছু দেখতে দেখতে বীথি চলতে থাকে। তার মাথা থেকে রাজকুমারীর চিন্তা একরকম বিদায় নিয়ে নেয়। লোকগুলির চেহারার মধ্যে নাই কোনো হতাশা, ফ্রাস্টেশনের ছাপ। তারা কেউ ক্যারিয়ারের ইঁদুরদৌড়ে শামিল না। প্রতিবেশীর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ি,গাড়ি করার দিকেও তাদের নজর নাই। বেশিরভাগ সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই বেশ গরীব। কিন্তু তাদের মুখে হাসি, চেহারায় সন্তুষ্টির ছাপ। দেখে খুব ভালো লাগে বীথির। সে ক্রমাগত হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে এক সময়ে সে শহরের একপ্রান্তে এসে পড়ে। শহরটা আসলে তেমন বড় না।

এ জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। মাঝে মধ্যে দুই একটা বাড়িঘর, দোকানপাট দেখা যাচ্ছে। বড় রাস্তার বাঁদিক দিয়ে একটা পায়ে চলার মেঠোপথ দেখে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে বীথি। একদৃষ্টে পথটার দিকে তাকিয়ে থাকে কি মনে করে, পথটা যেন তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তারপরে কি ভেবে বড়রাস্তা ছেড়ে সেই কাঁচা রাস্তায় নেমে পড়ে সে।

অনেকখানি হাঁটবার পর রাস্তাটা একটা বনের মধ্যে গিয়ে পড়ে শেষ হয়ে গেল। আশেপাশে কোনো জনপ্রাণী নাই। এই নির্জন বনে ঢোকা হয়ত সমীচীন হবে না। কিন্তু বীথি নিজেকে থামাতে পারে না। এক অমোঘ আকর্ষণে সে বনের গভীর থেকে গভীরে ঢুকে পড়তে থাকে। অনেকক্ষণ থেকেই তার মনে হচ্ছে যে কে জানি তার পিছে পিছে আসছে। বারবার ঘুরে দাঁড়িয়ে কাউকে সে দেখতে পেল না। কিন্তু চলতে আরম্ভ করবার সাথে সাথে মনে হয় পিছে কারো যেন পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কারো পায়ের চাপে পড়ে ডালভাঙ্গার শব্দ, শুকনো পাতার মচমচ শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বীথি যেই থেমে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়, অমনি সে শব্দ বন্ধ হয়ে যায়।
এক সময়ে দূরে টকটকে লালজামা পড়া কাউকে বনের মধ্যে যেতে দেখল বীথি। রেড রাইডিং হুড কি? চেঁচিয়ে তাকে সতর্ক করতে চাইলো।
বলতে চাইল যে- সাবধান! দাদীর বাসায় গিয়ে যাকে দাদী বলে মনে করবে, সে আসলে কেউ না, একটা নেকড়ে বাঘ।
কিন্তু কিছু বলবার আগেই মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে গেল, বীথিরও তাকে সতর্ক করে দেওয়া হল না।
গভীর বনের মধ্যে হঠাৎ করে একটা খোলা জায়গায় এসে পড়ে বীথি। ছোট্ট একটা কুটির দেখা যাচ্ছে। একদম ছোট, বেশ সাদামাটা। কুটিরের একপাশে দড়িতে মেয়েদের পোষাক মেলে দেয়া আছে। অন্যপাশে একটা কুয়া, খুব সাধারণ জীবনযাত্রার এক চিত্র। কিন্তু যে জিনিসটা বীথিকে আশ্চর্য করে দিল, তা হচ্ছে কুটিরের ছাদ। ছাদের গায়ের অসংখ্য মিষ্টি জাতীয় খাবার থরে থরে সাজানো। কি নাই সেখানে? কেক, পেষ্ট্রি, ডেনিশ, ডোনাট, ফ্লান, মুজ থেকে আরম্ভ করে পাটিসাপ্টা, ধূপি, পাকোয়ান প্রভৃতি পিঠা। রসগোল্লা, চমচম রসকদম্ব, জিলাপী, প্যাড়া সবই মজুদ। বীথির কোনো মিষ্টিপ্রীতি নাই কিন্তু এই অদ্ভুত মিষ্টির ছাদ দেখে হঠাৎ করে তার খাবার দূর্দমনীয় ইচ্ছা হয়। একটা মিষ্টি তাকে খেতেই হবে। না হলে সে মরেই যাবে।

পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে ছাদ থেকে একটা মিষ্টি নিতে যাবে, কে যেন তার দুই কাঁধ খামচে ধরে তাকে ঝটকা মেরে পিছনে সরিয়ে নিয়ে আসে। অবাক হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বীথি ধ্রুবর মুখোমুখি পড়ে গেল।
ধ্রুব তাকে বলে- পালাও।
বীথি তর্ক শুরু করে- পালাব কেন? এত মিষ্টি আছে, আমি তো শুধু একটা নিতে চাচ্ছিলাম। একটার বেশি না তো।
অস্থিরভাবে ধ্রুব বলে- এত ব্যাখ্যার সময় নাই। ভাল চাও তো পালাও।
ধ্রুবর কথা শেষ হতে না হতেই কুটিরের ভেতর থেকে একটা তীক্ষ্ম, খনখনে রক্তজল করা হাসির শব্দ ভেসে আসলো।
ধ্রুব সাথে সাথে বলে- তোমাকে কি বললাম আমি? তাড়াতাড়ি দৌড় দাও।
বলে বীথির হাত ধরে এক হ্যাঁচকা টান মেরে দৌড়াতে আরম্ভ করে। বীথিকে আর দ্বিতীয়বার বলতে হল না। ঐ ভয়ঙ্কর হাসির শব্দে তার প্রাণ উড়ে গেছে। দুজনে দৌড়াতে দৌড়াতে বনের গভীর থেকে আরো গভীরে চলে গিয়ে একসময়ে দাঁড়িয়ে পড়ে হাঁপাতে থাকে।

বীথির হৃৎপিন্ড যেন তার গলার কাছে লাফ দিয়ে চলে এসেছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
সে কোনোরকমে প্রশ্ন করে
– ঐটা কার হাসি ছিল?
-চুপ!
বীথিকে চুপ থাকবার নির্দেশ দিয়ে ধ্রুব কি জানি শোনবার চেষ্টা করে। তারপরে বলে
– যাক। ও আমাদের পিছু নেয়নি। আসলে ও তেমন খারাপ না। শুধু ওর মিষ্টিতে হাত পড়লেই ওর মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।

মনে এক রাশ প্রশ্ন নিয়ে বীথি ধ্রুবর দিকে তাকায়। কে খারাপ না, কার মিস্টিতে হাত পড়লে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, ঐ কুটিরটা কার ছিল– একটার পর একটা প্রশ্ন তার ঠোঁটের ডগায় এসে জমা হতে থাকে। কিন্তু সে একটা প্রশ্নও করবার অবকাশ পায় না। কারণ ঠিক সেই মুহূর্তেই গুমগুম শব্দে মাটি কাঁপিয়ে লাঠিহাতে এক খোক্কসকে দেখা যায়। খোক্কস তাদেরকে দেখে প্রথমে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর তার মুখে নির্বোধ খুশির হাসি ফুটে ওঠে। মুখে অবোধ্য শব্দ করে আকাশ বাতাস কাঁপাতে কাঁপাতে ওদের দিকে সে এগিয়ে আসতে থাকে। এবারে বীথি পুরোপুরি পাথর বনে গেল। নিজের হাত, পা নাড়াবার ক্ষমতা সে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে। পরপর দুইটা শক কি তার পক্ষে নেয়া সম্ভব? ধ্রুবর চিৎকার তার কানেও যায় না। ধ্রুব যতই চিৎকার করে তাকে পালাতে বলে সে ততোই ফ্যালফ্যাল করে একদৃষ্টে খোক্কসটার দিকে তাকিয়ে থাকে। শেষে উপায় না দেখে ধ্রুব তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে।

ভাগ্য ভালো যে খোক্কসগুলির বুদ্ধিসুদ্ধি কম থাকে। তারা দৌড়াদৌড়ির মধ্যে নাই। ঢিমা তেতালা গতিতে সে ধ্রুব বীথির পিছু নেয়। তবে খোক্কসদের প্রধান শক্তি তাদের গায়ের জোরে। একবার তাদের নাগাল পেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বুঝতে পেরে ধ্রুব যতটা সম্ভব জোরে দৌড়াতে শুরু করে বীথিকে সাথে নিয়ে। বীথি সে গতির সাথে তাল রাখতে না পেরে ছিটকে পাথরের উপরে পড়ে গিয়ে হাতে প্রচন্ড ব্যথা পায়। ধ্রুব দাঁড়িয়ে পড়ে বীথিকে তুলবার চেষ্টা করতে থাকে। খোক্কস তাদেরকে প্রায় ধরেই ফেলেছে, আর রক্ষা নাই! হঠাৎ ছোট একটা গুহামুখ দেখতে পেয়ে ধ্রুব বীথিকে কোনরকমে টেনে তুলে সেই গুহার মধ্যে ঢুকে পড়ে। গুহার ভিতরে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার, দুজনে নিঃশ্বাস বন্ধ করে চুপ করে বসে থাকে।
খোক্কসটা যে আশেপাশেই আছে আর তাদের খোঁজ করছে সেটা স্পষ্ট বোঝা গেল গুহার ভিতর থেকে। কিন্তু খোক্কসের এত বুদ্ধি নাই এত ছোট গুহামুখ খুঁজে বের করে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো। যার জন্য তাদেরকে খোক্কস চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

এদিকে খোক্কসও ছেড়ে দেবার বান্দা না। সে আশেপাশে ঘুরঘুর করতেই থাকল। অবশেষে যখন সন্ধ্যা নেমে আসি আসি করল, তখন সে হাল ছেড়ে দিল। তার গুমগুম পায়ের শব্দ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে একসময়ে মিলিয়ে গেল।

এতক্ষণে আটকে রাখা নিঃশ্বাসটা ফেলল বীথি। তারপাশে বসা ধ্রুব খচমচ শব্দ করে কি জানি করল অন্ধকারের মধ্যে। আর তার পরপরই ফস করে দিয়াশলাইয়ের শব্দে আলোর দেখা পাওয়া গেল।

কাঁধের ঝোলা থেকে মোমবাতি বের করে জ্বালায় ধ্রুব।
তারপরে চারিদিক দেখে নিয়ে সন্তুষ্টির সাথে বলে
– খারাপ না। গুহাটা শুকনাই আছে, কোথাও পানি দেখা যাচ্ছে না। আপাতত এর থেকে আর ভালো জায়গা আশা করতে পারি না।
-মানে? ঐ জিনিসটা তো চলে গেল বলে মনে হল। তাহলে আর এখানে বসে থাকবার দরকার কি?
বীথি প্রশ্ন করে।
-ঐ জিনিসটা একটা খোক্কস ছিল। বুদ্ধি কম কিন্তু প্রচন্ড গায়ের জোর। প্রিয় খাবার মানুষের মাংস। কাঁচা না অবশ্য, সিদ্ধটাই ওদের বেশি ভালো লাগে।

শিঁউরে উঠে বীথি। একটুর জন্য জোর বাঁচা বেঁচেছে সে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজপ্রাসাদে ফিরে যাওয়া যায়, ততোই মঙ্গল।

বীথির মুখের অভিব্যক্তি পড়ে ফেলে ধ্রুব বলে
– আজ রাতের মত রাজপ্রাসাদে ফেরার আশা ছেড়ে দাও, আমাদের এখানেই রাত কাটাতে হবে।

শুনে সংকুচিত হয়ে যায় বীথি
– এখানে? কেন, খোক্কস তো চলে গেছে। আমরা তো রওনা দিয়ে দিতে পারি।
-খোক্কস চলে গেলেও অন্যান্য হিংস্র জীব-জন্তু তো রয়েছে। খেয়াল করে দেখ, রাত হয়ে এসেছে। আর আমরা গভীর বনে চলে এসেছি। অন্ধকারের মধ্যে পথ খুঁজে তো পাবই না, উল্টো বাঘ ভাল্লুকের পেটে চলে যাবার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

কথাটা বীথি উড়িয়ে দিতে পারল না। কিন্তু ধ্রুবর মত একটা অচেনা লোকের সাথে নির্জন গুহায় রাত পার করতে হবে মনে হতেই বীথি সংকোচে আড়ষ্ঠ হয়ে গেল। ধ্রুবকে তো সে একেবারেই চেনে না। তার মনেই বা কি আছে কে জানে। বাঘভাল্লুকের পেট থেকে বাঁচতে গিয়ে আবার অন্য বিপদে না পড়ে সে। রক্ষক হয়ে ভক্ষক হবার নজীরের তো অভাব নাই।

চলবে…

https://ochinpurexpress.com/%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4/%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a6%a5%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac-%e0%a7%ad/

https://ochinpurexpress.com/%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4/%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a6%a5%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac-%e0%a7%af/

অচিনপুর ডেস্ক /এসএসববি

Post navigation