এই অবিমৃষ্যকারিতার মিছিল

অভ্রনীল আজাদ
দক্ষিণ সুদান।

কবিতা: এই অবিমৃষ্যকারিতার মিছিল

এই অবিমৃষ্যকারিতার মিছিল—
এই বিস্মরণের দোহাই –
আমাকে ছাড়ে না,
পাঁজা করে নিয়ে যায় এক অজ পাড়াগাঁয়,
যেখানে শত ক্রোশ পেরিয়ে আমিও জন্মে ছিলাম কোন একদিন
নতুন সূর্যের বারতা নিয়ে।
জানি না ভয়াল সব কালো রাত্রির বুক চিরে
অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগে ভুগে, পথে পথে
ছুটে বেড়িয়েছিলেন কত হাজারও জন—
জঠরে নিয়ে মুক্তির পয়গাম।
তবু পিছু ছাড়েনি শকুনেরা—শিয়ালেরা-হায়েনারা।
আজও নেকড়েরা অজান্তেই হামলে পড়ে এই সবুজ বাংলায়—
সুতীক্ষ্ণ দাঁত আর ধারালো নখরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত করে
এর উর্বর জঠর— শানিত মেধায় হানে বিষাক্ত কোবরার ছোবল।
শিব কণ্ঠে বেজে ওঠে বিজাতীয় গান।
যে তুমি আমার নও–
যে তুমি শাড়িতে বেমানান—
সেই তুমি হয়ে ওঠ পরাণের পরাণ।
ইংরেজীটা করেছি রপ্ত
হিন্দি- উর্দুটাও বেশ শক্ত
না বুঝেও আরবীতে ভক্ত—
সহসাই ভুলে যাই বাংলা বানান।
এই অবিমৃষ্যকারিতার মিছিল
এই বিস্মরণের দোহাই
কবিকেও ছাড়ে না
এক মুঠো ভাতের অধিকার ফিরে এলেও—
মুখে রোচে না বায়ান্নর ফসল।
হায়রে আগ্রাসন!
হায়রে আকাশ সংস্কৃতি!
নবান্নও মরে যায় -ঋণ বাড়ে শুধু
বেড়ে যায় প্রজন্মের দায়—
বৈশাখ এলেও হালখাতা জমে জমে পাহাড় হয়।

অচিনপুর ডেস্ক/ এস. এস. ববি

Post navigation