সেই তুমি

জীনাতুল কুবরা নিপা
মালয়েশিয়া।

কবিতাঃ সেই তুমি

সবুজ ঘাসের গালিচায় পা ডুবিয়ে
ভোরের শিশিরের টুপটাপ ঝরে পড়ার শব্দ,
সোনালী আলোয় মাখা দিনগুলোতে
ভালবাসার উষ্ণ পদ্যে ভরা সেই জীবন।
আহা! মিষ্টি সুবাসিত গন্ধরাজ কিংবা কামিনী,
সুনীল আকাশে উড়ে যাওয়া বকেরা,
শুকিয়ে যাওয়া বকুলমালা, জড়িয়ে ধরা স্বর্ণলতা
-সব সব ছিল বড় আপন।
বর্ণিল প্রজাপতির ডানা থেকে রং নিয়ে
উদাস চৈত্র দুপুর ঠায় দাঁড়িয়ে রয় অবিচল,
পায়রার বাকবাকম খুঁজে ফিরি আজও।
বাঁশ ঝাড়ের রহস্যময় আওয়াজে
মাঘ রাত্রির গভীর আঁধারে নিঃশব্দে কাঁদে যে
নারী,
ভালবাসার ঠাস বুনটে বোনা তার ঠুনকো সংসার,
কোন সে ঘূণপোকায় কেটে যায় অবিরাম, অন্তবিহীন।
বহু পুরনো ছিঁড়ে যাওয়া কাঁথা, কাপড়ের তালি দিয়ে
চলে আরও বহুদিন।
তাল মিছরির মত মিষ্টি লাজুকলতা
লাউয়ের ডগার মতো বাড়ন্ত আকাঙ্ক্ষা,
কি যেন বলতে চায় অবুঝ মন।
শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকা কোন সে রাজকুমার
ঘুম ভাঙ্গাবে সোনার কাঠি, রূপার কাঠি নেড়ে।
অপেক্ষারা কেবলই লম্বা হয়,
অন্তহীন সে প্রতীক্ষা।
চিরল তেঁতুল পাতার মতো
কিংবা কচি কলা পাতার মতো
স্নিগ্ধতা ঘিরে থাকে,
ঘিরে নামে বিন্যস্ত বুভুক্ষু হৃদয়,
জানে না কোথায় তার গন্তব্য,
গন্তব্যের শেষটায় বা কি!
কি সব ভেবে ভেবে সারা বেলা যায় বয়ে,
বয়ে চলা সময় আর নদীর দুই কুল
কুলকুল করে কোরাস গায় যেন বা!
যায় চলে কোন সুদূর অজানায়,
অজানা ভাবনায় ডুবে ডুবে
শুশুক হয়ে হঠাৎ ভেসে ওঠা
হৃদয় তোলপাড় করা কথাগুলো,
ভুলিনি আজ ও,
আজ ও গহীন গোপনে বসবাস সেই
তোমার!

অচিনপুর ডেস্ক/ এসএসববি 

Post navigation