নাঈম হায়দার
সাভার, ঢাকা।
রম্যছড়া: ভাংগারী মাল
কড় রা মেকআপ,
ম্যাচিং শাড়ী চুড়ি,
বউ চুল গাল ফুলিয়ে,
করছে ঘোরাঘুরি।
সুচিত্রা সেন কাজল টেনে,
দিলখোস সেন্ট মেখে।
স্বামীর চোখ ঘোরে না,
স্মার্ট ফোনটি থেকে।
শেষে বউ ঝাঁঝিয়ে ওঠে,
স্বামীর উপর রেগে।
বুড়া ভাম খাটাস শিয়াল,
ঘুমিয়ে আছো জেগে?
তোমার এক বন্ধু আছে,
বলবো না নাম তার।
দেখা হলেই বলে “ভাবী,
আপনি চমৎকার!
পন্চাশ বয়স হোল,
বুঝতে যায় না পারা।
মনে হয় কলেজ গার্ল,
টাটকা পাশ করা!”
স্বামী মুচকী হেসে,
বলে আমি জানি।
কার প্রশংসায় তুমি,
হইসো অভিমানী ।
একমাত্র পলাশ ব্যাটা,
বলবে এসব কথা।
আমি কি ভুল বলেছি,
হয়েছে অন্যথা?
বিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া,
বৌ অবাক হয়ে মানলে।
হ্যাঁ এটা পলাশ ভাই-ই,
কেমনে তুমি জানলে!?
খুব সোজা, পলাশ করে
ভাংগারী মাল ব্যাবসা।
পুরান বাতিল হাবিজাবি,
ভাঙাচোরা ফ্যাঁপসা।
বাতিল মালপত্র জিনিষ,
ভাঙাচোরা ও গান্ধা।
এমনই তার লাগে ভালো,
এটাই যে ওর ধান্দা।
অচিনপুর ডেস্ক/ এস.এস.ববি