কবিতা:নষ্ট সময়ের কথকতা
- জীনাতুল কুবরা নিপা
মহুয়া ফুলের গন্ধে মাতাল সময়,
কনক কিরণ চুরি করা মেঘের রাশি,
বেহিসেবি মন নিস্তব্ধতায় শব্দ খোঁজে!
উপচে পড়া ভাললাগা সুরের সাথে শূন্যস্হান পূরণে ব্যস্ত।
মঞ্চে জ্বলা সবুজ – নীল আলোয় মায়বী কুশন,
ভালবাসার শাদা শাদা বক উড়ে যায় সুদূর দিগন্তে।
মফস্বলের ধূসর রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের মৃদু আলোয়,
পথপানে অহর্নিশ চেয়ে থাকে কোন এক জননী,
যদি হঠাৎ আসে ফিরে তার হারানো নয়নের মণি।
তার অসীম দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারী হয় আরো।
পান্ডুর রোগাক্রান্ত কচি সবুজ পাতা ঝরে যায় অকালে।
ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখে অসাড় দেহের এক জনক।
অপারগ এক জনক দেহে আর মননে।
মৃত্যুন্জয়ী কিছু তরুণ অটোরিকশায় চেপে দূরে মিলিয়ে যায়…
পাড়ার শতবর্ষী বৃদ্ধের কাশির শব্দ,
বাদবাকি সব নীরব, নিঃশব্দ, অবুঝ, অবোধ শিশুরা
যেন ভুলে গেছে অকারণ হুটোপুটি, হাসি, কোলাহল।
বেদখল হওয়া নীড়;
দুটি শহুরে চড়ুই শুধু শোরগোল করে শালিকের সাথে বাঁধায় লড়াই।
বিষপিঁপড়ার কামড়ে এখন অনুভূতি শূন্য,
চোরাকাঁটায় পাইনা আর কোন ভয়।
শুধু আকাশটা বিবর্ণ হলে কান্না পায়!
বড্ড বেশী কান্না পায়!
কষ্টের ফেরিওয়ালাকে ডাকি না বহুদিন,
কেননা, এখন আমার আঙিনায় বিস্তর কষ্টেরা গড়াগড়ি যায়।
রাত্রি নিশিথে কিশোরী পাগলীর খিলখিল হাসিতে
মেরুদণ্ড হিম হয়ে যায়, জমাট অন্ধকারে।
হায়েনা হাসে না, নিশ্চুপ।
নেকড়ে আর কুকুর একজোটে থাকে নিরন্তর পৈশাচিকতায়।
নির্লিপ্ততার ভাষাহীন কথকতায় স্বপ্নেরা নিহত ধলপ্রহরে।
নৈশ প্রহরীর চিৎকার রাত্রির অন্ধকার ভেঙ্গে দেয় হাজার টুকরায়।
সেই ছিন্নভিন্ন অন্ধকারে সূর্য আসে তবু নিয়ম মত।
…::: মালায়েশিয়া।