সাখাওয়াৎ ভূঁইয়া
ঢাকা।
কবিতাঃ অনাদ্র অনল
(কাব্যগ্রন্থ : অনুরাধা)
অন্তহীন অনুনাদ, অবাধ অবাতে,
অনুরাগ অনুযোগ, অলিন্দ অলয়ে,
অনাবিল অমলিন, অধম অধীরে,
অভিমানী অনুমান, অমুক্ত অরুপে।
অখণ্ডিত অফুরান, অশান্ত অন্তরে,
অবনত অনুরতি, অব্যয় অমিয়ে,
অবহেলা অনিয়ত, অসম অনুপে,
অনাবাসী অনুসারী,অলক অঞ্চলে।
অনুভব অনায়াস, অসাড় অমতে,
অবনত অনুরাধা, অনুচ্চ আস্তরে,
অনাহুত অনাদায়ী, অনাদ্র অনলে,
অনুগত অনুগামী, অসীম অধীরে,
অধিহার অনাদায়ী, অনাস্থা অমিলে,
অনিবার অপঘন, অমিত্র অনড়ে।
পরীক্ষামূলক এ চতুর্দশপদীটি ( প্রতিটি শব্দ অ দিয়ে শুরু হয়েছে) যদি অর্থ ঠিক রেখে সহজ সাধারণ গদ্য ছন্দে লেখা যায়, তবে কেমন হতে পারে, দেখা যাক :
শুস্ক অনল :
সমস্ত আকাশ জুড়ে,
যে সীমাহীন প্রতিধ্বনি শুনতে পাই,
আমার হৃদপিন্ডের অলিন্দে,
যে অনুরাগের বাঁশী বাজে,
অনুযোগের হিমঘরে,
তা কখনো মলিন হয় না,
আমার অধম অন্তরে।
কিন্তু তার অশান্ত অসীম অভিমান,
বন্দী থাকে কায়াহীন তোমার বিমূর্ত আবহে।
হে আমার অনুপম মধুময়,
তোমার কালো চুলের ভাঁজেও কি,
আমার জন্য অবহেলা ছাড়া,
আর কিছু নেই?
তবু কেন আমার নক্ষত্রপথ,
তোমার কক্ষে অবনত হয়ে থাকে,
আহত পাখির মতো।
এ জীবনে তবু তোমার অনলে পুড়ব,
খাঁ খাঁ অঙ্গার হব।
অসীম অপেক্ষারত থাকুক,
আমার স্বপ্নময় আকর,
তুমি না হয় নাইবা দিলে,
মনের ঘরের দুয়ার খুলে,
না হয় তুমি থাকলে অনড়,
তোমার অসীম মোহর মাঝে।
অচিনপুর ডেস্ক/ জেড. কে. নিপা